কলকাতার সেরা সুন্দরী (Most beautiful girl in kolkata)


WANT TO READ THIS BLOGS IN ENGLISH? CLICK HERE 

কলকাতায় থাকেন যখন, ছেড়েদিন ভারতে থাকেন যখন তখন সুন্দরী নারীর কথা মানে ইতিহাসে সুন্দরী নারীকে নিয়ে অনেক কিছুই তো পড়েছেন। কিন্তু কলকাতার সবথেকে সুন্দরী নারীর কথা কি জানেন?
নাজানা টাই স্বাভাবিক। কেউ মনে রাখেনি তাঁকে। শুধু ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম হয়ে আছে ‘দ্যা সেলিব্রেটেড মিস অ্যান্ডারসন’।

আসুন আজকে জেনেনি তাঁকে নিয়ে মজার কিছু কথা।

সময়টা অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি। মানে পলাশির যুদ্ধ হয়ে গেছে কোম্পানির শাসন কলকাতাতে ভালই গেড়ে বসেছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে কাজ করার জন্য শয়ে শয়ে ছেলে আসছে ইন্ডিয়া তে। এবার ভাবুন শয়ে শয়ে সিঙ্গেল ছেলে এক যায়গায় আছে, আরে বাবা একটু মনোরঞ্জন তো দরকার। সব ছাড়ুন জীবন সঙ্গী তো দরকার। কোম্পানি কিন্তু থেমে থাকেনি শুরু করলেন “দ্যা ফিশিং ফ্লিট” ইংল্যান্ড থেকে কোম্পানি নিজে খরচে কলকাতায় মেয়ে নিয়ে আসলেন। না না কোন খারাপ উদ্দেশ্য নয়, কোম্পানি বলে দিলেন “পছন্দ মতো বর খুজে নাও, সময় ১ বছর”। ছেলেও খুশি মেয়েও খুশি। কেউ কেউ তো তাড়াতাড়ি নিজের বর খুঁজে নিলেন  আবার কেউ বর খুঁজে না পেয়ে দুঃখে ফিরে গেলেন ইংল্যান্ড।

এমন সময়ই কলকাতায় এলেন মিস এলিজাবেথ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বড় কর্তা রবার্ট অ্যান্ডারসন এর মেয়ে এলিজাবেথ জেইন। ইংল্যান্ডে নিজের স্কুল কলেজ শেষ করে ফিরে এসেছেন নিজের বাবা মায়ের কাছে।  কিন্তু গল্প তো শুরু এখান থেকেই ব্যাচেলার ইংরেজ যুবকরা তো আর জানেনা যে এই এলিজাবেথ কে? এলিজাবেথ কলকাতায় আসার সাথে সাথে খবর ছড়িয়ে পড়ল যে এমন সুন্দরী মেয়ে নাকি কলকাতায় কোনদিন আসেইনি। সুতরাং আর বলার কিছু নেই সবাই চায় এলিজাবেথ তাকেই বিয়ে করবে।এদের কিভাবে সামলাতে হয় ভাল করেই জানতেন এলিজাবেথ।সুন্দর খেলা খেললেন এলিজাবেথ, একদিন বল ড্যান্সে এলিজাবেথ ১৬ জন ছেলেকে আলদা আলাদা করে ইনভাইট করলেন এবং সবাইকে একাই সময়ে, একই যায়গায় আসতে বলেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি বলেছিলেন যে “আমার গাউনের সাথে সবথেকে ভাল মানাবে যদি তোমরা গোলাপি লেসের পাইপিং দেওয়া পি গ্রিন রঙের সুট পরে আসো।” । অদ্ভুত বাপার হল ১৬ জন ছেলেই একই কাটকাটে সবুজ রঙের সুট পরে গেলেন। হাসাহসি হল বটে তবে সবাই স্পটিংলি নিলেন এই ব্যাপারটাকে। এলিজাবেথ কিন্তু কাউকে নিরাশ করেননি সবার সাথেই আলাদা আলাদা করে নাচলেন। ফেয়ার সময়ে ঘটল আসল দেখার মতো ঘটনা, ১৬জন ছেলেই মশাল জ্বালিয়ে এলিজাবেথের ঘোড়ার গাড়ির পাশে পাশে চলল তাঁর বাড়ি অবধি।

অবশেষে ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৭৭৬-এ এলিজাবেথ বর হিসাবে বেছে নিলেন হেস্তিংসের বন্ধু রিচার্ড বারওয়েল কে। শোনা যায় জুয়া আর মেয়ে দুটোর নেশাই তাঁর ভীষণ ভাবে ছিল। কি আর করা যাবে বলুন সুন্দরী মেয়েদের সাথে এটাই তো হয়, ভাগ্যের পরিহাস। দুঃখ বেশিদিন সহ্য করতে হয়নি তাঁকে ৯ই নভেম্বর ১৭৭৮-এ মাত্র ২৩ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে মারা যান এলিজাবেথ।

আপনি হয়ত মনে রাখেননি তাঁকে কিন্তু আজও কলকাতার বুকে সাউথ পার্কস্ট্রিট সিমিস্ট্রি তে শুয়ে রয়েছেন কলকাতার সেরা সুন্দরী এলিজাবেথ। সাউথ পার্কস্ট্রিট সিমিস্ট্রি-এর সবথেকে উঁচু সমাধি গুলোর মধ্যে একটি এই এলিজাবেথের সমাধি। কোনদিন ঘোড়ার ফাঁকে একটু কষ্ট করে শ্বেত পাথরের ফলকের লেখা তাঁর নাম আজও পড়া যায়, এলিজাবেথ জেইন বারওয়েল ‘দ্যা সেলিব্রেটেড মিস অ্যান্ডারসন’।



অজানা কলকাতা টুইটার (ojana Kolkata in twitter) https://twitter.com/KolkataOjana?lang=en

অজানা কলকাতা ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/OJANA-Kolkata-351064638888700/?modal=admin_todo_tour




0 Comments:

Post a Comment