কিন্তু আজ থেকে ২০০ বছর আগে, কোথায় ছিল এইসব
কোল্ড-ড্রিঙ্কস?
আরে মশাই ইলেক্ট্রিসিটি ছিলনা আবার কোল্ড ড্রিঙ্কস, কি যে
বলেন।
কিন্তু হ্যাঁ সেইসময় ইংরেজরা বরফ পেয়েছিল। জানেন?
সেই সময় বরফ? তাও আবার কলকাতায়! কীভাবে পেল?
জানতে চান? তাহলে পড়ুন।
ইংরেজদের মধ্যে একটা ধারণা ছিল যে এখানকার জল খেলেই নাকি
ডাইরিয়া, বুঝুন, তবে করণীয়? কেন তেষ্টা পেলে বিয়ার খাও। আরে বাবা বিয়ার তো ঠাণ্ডা
করতে হবে, বরফ কোথায়? ১৮১৪ সাল তৈরি হল হুগলী বরফ কল, হুগলী-র চুঁচুড়াতে। তবে বছরে
৪মাস তৈরি হত এই হুগলী বরফ। জল মাটির হাড়িতে খড়দিয়ে বেধে রেখে দেওয়া হত শীতের
ঠাণ্ডা হাওয়ায় জল বরফ হত, ঠিক বরফ না অনেকটা আধজমা ঝুরো বরফের মতো একপ্রকেরর
পদার্থ কিন্তু বড্ড নোংরা, মানে ঠাণ্ডা হবে কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। ঠিক এইসময় ই এক
মার্কিন নাগরিক ফেড্রিক টিউডার, বাড়ি আমেরিকার বোস্টন ম্যাসেছুসেত্তস-এ, দেখলেন
দারুন সুযোগ নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে তাদের অনেক জমি আর তার জমিতে অনেক পুকুর,
শীতকালে পুকুরের জল জমে বরফ হয়ে যায়। ফেড্রিক সেই বরফ কড়াত দিয়ে কেটে কাঠের গুড়ো
দিয়ে জাহাজের ভেতর ইন্সুলেট করা ঘর বানিয়ে বরফ তাতে পুড়ে পাঠিয়ে দাও ভারতে। ৬ই
সেপ্টেম্বার ১৮৩৩ তাস্কানি বলে একটি জাহাজ আসে কলকাতায়, ৪মাস আগে ১৮০টন বরফ নিয়ে
রওনা দিয়েছিল, আসতে আসতে প্রায় ৮০টন গলে গিয়েছে কিন্তু ১০০টন তো আছে, সেটাও আর কম?
রীতিমত নিলাম করে বিক্রি হয়েছিল এই বরফ।৪আনা প্রতি পাউন্ড হিসাবে। আনন্দে
উত্তেজনায় সাহেবরা বানিয়ে ফেললো আস্ত একটি বরফ ঘর বা ICE HOUSE ।এই বরফ ঘর ছিল বর্তমান হেয়ার স্ট্রিটে স্মল
কাজেস কোর্ট এর পশ্চিম দিকে। তবে কলকাতার এই ICE HOUSE আর নেই তবে চেন্নাই গেলে এই ICE HOUSE এখনও দেখা যায়।
শুধুমাত্র কলকাতাতে বরফ পাঠিয়ে ফেড্রিক টিউডার সেই সময় আয়
করেছিলেন প্রায় ২লাখ ডলাররে বেশি।
একটু বফের জন্য এত হুজ্জুতি ভাবতে পারেন আজকের দিনে? নিন অনেক কথা হল যান এবার কোল্ড ড্রিঙ্কস খান।
অজানা কলকাতা টুইটার (ojana Kolkata in twitter) https://twitter.com/KolkataOjana?lang=en
অজানা কলকাতা ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/OJANA-Kolkata-351064638888700/?modal=admin_todo_tour
অজানা কলকাতা ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/OJANA-Kolkata-351064638888700/?modal=admin_todo_tour
0 Comments:
Post a Comment